সংবাদ বিজ্ঞপ্তি :
ইন্ডিপেন্ডেন্ট টেলিভিশনের অসুসন্ধানী মূলক অনুষ্ঠান তালাশ টিমের বিরুদ্ধে নাগরিক টিভির কক্সবাজার জেলা প্রতিনিধি সাইফুল ইসলাম কোটি টাকার মানহানি মামলা করেছে।
বুধবার (২৭ মার্চ) কক্সবাজার সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে এ মামলা দায়ের করা হয়। যার মামলা নং ৩৩৬/২৪ ইং। আদালত মামলাটি আমলে নিয়ে কক্সবাজার জেলা তথ্য অফিসারকে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন।
মামলা সূত্রে জানা যায়, “হোটেলে অবৈধ অসামাজিক কার্যকলাপ ও মাদক ব্যবসার পাহারাদার খ্যাত কক্সবাজারের চিহ্নিত কিছু দালাল ঘটনার পরপরই মোটা অংকের চাঁদা নিয়ে সাজিমের সাথে যোগসাজস করে তার পক্ষ নিয়ে তালাশের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রে নেমে পড়েন” আখ্যা দিয়ে ইন্ডিপেন্ডেন্ট টেভিশনের অনুসন্ধান মূলক অনুষ্ঠান “তালাশ” এর ২৬২নং পর্বে “কক্সবাজারের ক্রাইম জোন” শীর্ষক শিরোনামে ষড়যন্ত্রমূলক ও উদ্দেশ্যে প্রণোদিত ভাবে ছবির উপর সাইফুলের নাম উল্লেখ করে প্রচার করা হয়েছে।
উক্ত সংবাদ মিথ্যা, বানোয়াটম, ভিত্তিহীন ও উদ্দেশ্য প্রণোদিত উল্লেখ করে মিথ্যা তথ্য প্রদানকারীসহ তিনজনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়।
মামলার আসামীরা হলেন, নাজমুল সাইদ,রিপোর্টার,ইন্ডিপেনডেন্ট টেলিভিশন, বোরহান উদ্দিন রব্বানী, কালামারছড়া, মহেশখালী, আবদুল্লাহ আল রাফি ওরফে শাকিল, উপস্থাপক, তালাশ, ইন্ডিপেনডেন্ট টেলিভিশন।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে মামলার বাদী নাগরিক টেলিভিশনের কক্সবাজার জেলা প্রতিনিধি, এবং কক্সবাজার সাংবাদিক ইউনিয়নের সদস্য সাইফুল ইসলাম জানান, ” আমি গত ১৬ মার্চ থেকে ২০ই মার্চ পর্যন্ত বুকে ব্যথা নিয়ে কক্সবাজার সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলাম। চিকিৎসা শেষে বিশ্রামরত অবস্থায় ২২ মার্চ রাত ১০ টার দিকে হটাৎ তালাশে এই নিউজটি দেখতে পাই। যা দেখে আমি রীতিমতো হতবাক হই। কেননা, তালাশের ওই ঘটনা সম্পর্কে আমি কিছুই জানতাম না এবং ওই রিপোর্টারদের ও চিনতাম না। এমনকি তালাশের ওই রিপোর্টারদের সাথে আমার কখনোই কথা ও দেখা হয়নি।
মুলত আমাকে সামাজিকভাবে হেয় প্রতিপন্ন করার জন্যই একটি চক্র ষড়যন্ত্রমুলকভাবে আমাকে ফাঁসিয়েছে। আমি মহামান্য আদালতের কাছে এই ঘটনার সুষ্ঠু বিচার দাবী করছি।
প্রতিদিনের খবরগুলো আপনার ফেসবুক টাইমলাইনে পেতে নিচের লাইক অপশনে ক্লিক করুন-